,

বাহুবলে ৪০০ নারী শ্রমিকের হাতে ৭ ল¶ টাকার অনুদান তুলে দিলেন-এমপি কেয়া চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার \ বাহুবলে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাগানের মন্দির প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ৪০০ জনের জনপ্রতি শ্রমিকদের হাতে ১৭৫০ টাকা করে এমপি কেয়া চৌধুরী তুলে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভাদেশ্বর ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কর্মকারের পরিচালনায় এ সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। যার প্রমাণ শ্রমিকরাই। এক সময় শ্রমিকরা অবহেলিত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আর আওয়ামীলীগ সরকার তাদের নাগরিক অধিকার পূরণে সোচ্চার। তাই এখন শ্রমিকরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, (২য় পৃষ্টায় দেখুন) জনপ্রতি ১৭৫০ টাকা করে প্রদান করলাম। এ টাকা দিয়ে নারী শ্রমিকরা নিজ বাড়িতে হাঁস-মোরগ ছাগল পালন করে নিজেরা ¯^াবলম্বী হতে পারবে। মনে রাখতে হবে, ¶ুদ্র থেকে বৃহত হবে। তাই এ টাকা খরচ না করে কাজে লাগান। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে পারবেন। তিনি বলেন, এমপি হবার পর থেকে নেত্রীর কাছ থেকে একের পর এক অনুদান চা-বাগানে এনে দিয়েছি। আরো অনুদান নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এ সময় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলহাজ্ব হোসেন শাহ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার, রশিদপুর চা-বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ সালাউদ্দিন, রামপুরের ব্যবস্থাপক নাহিদ ফেরদৌস, রশিদপুরের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ করিম উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা শশাংক রঞ্জন দাশ, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি পিয়ারী চন্দ্র দাস, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি বিদ্যা সাগর বীর প্রমুখ। এক নারী শ্রমিক একা ২৩ কেজি চা-পাতা উত্তোলন করতে হয়। এতে পুরো দিন চলে যায়। তবেই দৈনিক মজুরী পান ৮৫ টাকা। এ টাকায় সংসার চালানো কঠিন। এরমধ্যে আবার গৃহের সবাইকে কাজ দেয়া সম্ভব হয় না বাগান কর্তৃপ¶ের। গৃহ থেকে একজন কাজ করলে, বাকীরা বেকার থাকতে হয় প্রায় সময়ে। তবে বর্তমান সময়ে বেকাররা বাগানের বাহিরে এসে শ্রমিক পেশায় কাজ করে দৈনিক ৩০০ টাকা জনপ্রতি পাচ্ছেন। এরমধ্যে খরচ করে দেড়শ টাকারমত থাকে। এ টাকায় সদাইপাতি ক্রয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। জেলার বাহুবল-নবীগঞ্জ উপজেলার নানা সময়ে চা-বাগানগুলো পরিদর্শন করেন এমপি কেয়া চৌধুরী। তিনি নিজ চোখে চা-শ্রমিকদের দুর্দশা অবলোকন করেছেন। মনে মনে স্থির করেন বাড়ি বাড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার। তাই তিনি ২০১৬ সালে সরকারের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চা-শ্রমিকদের জীবমানের উন্নয়নে আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করেন। এ প্রে¶িতে ‘সিদ্ধাš— গ্রহণ ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ চালু করে সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ বাগানের হতদরিদ্র ৪০০ জন নারী শ্রমিককে ৭ দিন ব্যাপী প্রশি¶ণ দেওয়া হয়। এ প্রশি¶ণে নারী শ্রমিকদের বলা হয়, বাড়ি বাড়ি কিভাবে হাঁস-মোরগ ছাগল পালন করে ¯^াবলম্বী হওয়া যায়। এ ধরণের প্রশি¶ণ পেয়ে নারী শ্রমিকরা হাঁস মোরগ ও ছাগল পালনের প্রতি উৎসাহিত হয়ে পড়েন। তাদের এ ¯^প্নকে বা¯—বে র“প দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে আসেন। শ্রমিকদের মধ্যে অসহায় দেখে জনপ্রতি প্রত্যেক নারী শ্রমিকের হাতে ১৭৫০ টাকা করে তুলে দিচ্ছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। সর্বশেষ হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা-বাগানের অসহায় ৪০০ নারী শ্রমিকদের মাঝে ‘সিদ্ধাš— গ্রহণ ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’র আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। সভায় অনুদানের টাকা নিতে আসা রিতা কর্মকার, অনিতা রায়, মিনা কর্মকার, জ্যোৎস্না চাষা, শ্রীমতি চাষা, কমলা বাউরি, কালতি রবিদাস, আলো মনি সাঁওতাল বলেন- চা-বাগানের দৈনিক মজুরী ৮৫ টাকায় চলে না। অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এরমধ্যে আমাদের কষ্ট দূর করতে সরকারের কাছ থেকে কেয়া আপা অনুদান নিয়ে এসেছেন। এটা ভুলার নয়। এ টাকা নিয়ে আমরা ছাগল, হাঁস ও মোরগ ক্রয় করব। এসব লালন পালন করে নিজেদের আর্থিক দৈন্যদশা দূর করতে চাই।


     এই বিভাগের আরো খবর